হরমোনকে ন্যাচারালি ব্যালেন্স করে পিরিয়ডের সকল সমস্যা দূর করা যায় সিড সাইক্লিং এর মাধ্যমে।
নারীদের জন্য হরমোনের ব্যালেন্স রাখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

নারীদের শরীরে হরমোনের প্রভাব রয়েছেঃ

  • প্রজনন স্বাস্থ্য ঠিক রাখতে
  • চুল ও ত্বক ভালো রাখতে
  • ওজন নিয়ন্ত্রণে
  • থাইরয়েডের ব্যালেন্স রাখতে
  • হজমের শক্তি বৃদ্ধিতে
  • ভালো ঘুম হওয়াতে
  • মুড ও স্ট্রেস লেভেল ম্যানেজে

সিড সাইক্লিং একটি পদ্ধতি যার মাধ্যমে পিরিয়ডের সার্কেলের ১ম থেকে ১৪ দিন অথবা হাফ সার্কেলে
ইস্ট্রোজেন ও পরবর্তী হাফ সার্কেলে প্রজোস্ট্রেরন হরমনের ব্যালেন্স করা হয়। শুধু হরমোনাল
ব্যালেন্সই নয়, সীড সাইক্লিং নারীদের ফার্টিলিটি বুস্ট জকরতে, রিপ্রোডাক্টিভ অরগেন এর হেলথ ভালো
রাখতে, পোস্ট মেনোপোজের লক্ষন কমাতে, PCOS ও PCOD পেশেন্টদের পিরিয়ড রেগুলার করতে
সহায়তা করে।

কি কি প্রয়োজনঃ

সীড সাইক্লিং এর জন্য চার ধরনের সীডস প্রয়োজন-
১। সার্কেলের প্রথম হাফে প্রয়োজন হয় ফ্ল্যাক্স সীড বা তিশি ও পামকিন সীড/মিষ্টি কুমড়ার বীজ।
১ম হাফ/ফলিকুলার ফেইজঃ ১-১৪/১৫ দিন
১ টেবিল চামচ ফ্ল্যাক্স সীডস এবং ১ টেবিল চামচ পাম্পকিন সীডস।
পিরিয়ড থেকে ওভুলেশন পর্যন্ত প্রতিদিন দুই ধরনের সীডশ খেতে হবে।

সেকেন্ড হাফ/লিউটাল ফেইজ (luteal phase) : ১৫-২৮ দিন ওভুলেশন থেকে পিরিয়ড
এই পর্যায়ে ১ টেবিল চামচ সানফ্লাওয়ার সীডস এবং ১ টেবিল চামচ Sesame (তিল) সীডস প্রয়োজন।
**যাদের থাইরয়েড এর সমস্যা আছে তারা অবশ্যই সানফ্লাওয়ার সীডস বাদ দিয়ে খাবেন।
যাদের পিরিয়ড অনিয়মিত তাদের প্রশ্ন থাকতে পারে, তারা কিভাবে দিন হিসেব করবে?
যাদের পিরিয়ড অনিয়মিত, তারা লুনার সাইকেল বা চাঁদের হিসেব ধরে সীড সাইক্লিং করতে পারেন।
এটার জন্য অমাবস্যা ও পূর্ণিমার দিনের হিসাব রাখলেই অনিয়মিত পিরিয়ড নিয়েও করা যাবে সীড
সাইক্লিং।

*অমাবস্যাকে (New moon) ডে-১ ধরে পরবর্তী ১৪/১৫ দিন অর্থাৎ পূর্ণিমা পর্যন্ত ফ্ল্যাক্স সীড
/তিসি ও পাম্পকিন সীডস ১ টেবিল চামচ করে খেতে হবে। পরবর্তী ১৫ দিন পূর্ণিমা থেকে অমাবস্যা
পর্যন্ত তিল আর সানফ্লাওয়ার/সূর্যমুখীর সীড খেতে হবে।
ফ্ল্যাক্স সীডস আর পাম্পকিন সীডস এ থাকে ফাইটোইস্ট্রোজেন, যা শরীরে ইস্ট্রোজেন অতিরিক্ত
থাকলে তা কমিয়ে এবং কম থাকলে তা বাড়িয়ে ইস্ট্রোজেন ব্যালান্স করে।
তিলে আছে পলিফেনল(polyphenols) যা ইস্ট্রোজেন লেভেল কে খুব বেশী বাড়তে দেয় না। সানফ্লাওয়ার
সীডসে থাকে ভিটামিন ই যা প্রজেস্ট্রেরন লেভেলকে বুস্ট করে। এভাবে সীড সাইক্লিং নারীদের শরীরে
হরমোনের ভারসাম্য রক্ষা করে।
এছাড়া এই প্রতিটি সীডস নানা পুষ্টিগুণে ভরপুর যেমন জিংক, ভিটামিন ই,ওমেগা -৩, ফাইবার,
ম্যাগনেশিয়াম, কপার ও হেলদি ফ্যাট রয়েছে এগুলোতে।
সীড সাইক্লিং ইনফ্লামেশন কমাতে, ব্লাড সুগার ও কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে। সীদ সাইক্লিং
এর সঠিক ফলাফল পেতে কমপক্ষে ৩-৪ মাস ফলো করতে হবে।
****প্রেগন্যান্ট অবস্থায় সীড সাইক্লিং করা যাবে না।

কিভাবে খাবেনঃ
সীড সাইক্লিং এর সর্বোত্তম ফলাফল পেতে প্রতিটি সীডস কাঁচা খাওয়াই ভালো। মিড মর্নিং নাস্তায়
অথবা বিকালের নাস্তায় অন্যান্য ড্রাই ফ্রুটস বা বাদামের সাথে মিশিয়ে খাওয়া যায়। তবে অবশ্যই
পরিমাণ যেন ঠিক থাকে।

Share.

2 Comments

Leave A Reply